সগীরা গুনাহ,সগীরা গুনাহের বিবরণ, সগীরা গুনাহের তালিকা
সগীরা গুনাহ
সগীরা গুনাহ বলতে সাধারণত আমরা ছোট ছোট গুনাহ কে বুঝি।তবে গুনাহ বলতে কোনো গুনাহই ছোট নয়।মূলত সেটাও আল্লাহর নাফরমানী। যেমন ছোট সাপ ক্ষতিকর অর্থাৎ জীবন ধ্বংসকারী আবার বড় সাপও জীবন ধ্বংসকারী।তাই ছোট সাপও অবহেলার নয়।(সগীরা গুনাহ)
সগীরা গুনাহকে অবহেলা করায় সেগুলো কবিরা গুনাহে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই কোনো গুনাহকে আমাদের ছোট মনে করা উচিৎ নয়।(সগীরা গুনাহ কি)
সগীরা গুনাহের তালিকা
নিম্নে সগীরা গুনাহের তালিকা দেয়া হল।তবে কোনো আলেম এ তালিকার মধ্যে কিছু গুনাহকে কবীরা গুনাহ বলেও আখ্যায়িত করেছেন।যাইহক আমার সাধ্য অনুযায়ী আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে একটি তালিকা পেশ করা হলঃ- (সগীরা গুনাহের তালিকা)
- কোনো মানুষ বা প্রানীকে লানত বা অভিশাপ দেয়া।
- না জেনে কোনো পক্ষে ঝগড়া করা বা অন্যায় পক্ষে ঝগড়া করা।
- ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাযে হাসা বা কোনো বিপদের কারনে নামাযে ক্রন্দন করা।
- ফাসেক লোকদের সাথে উঠাবসা করা।
- মাকরূহ ওয়াক্তে নামায পড়া।
- পেশাব পায়খানার সময় কেবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে বসা।
- উলঙ্গ হয়ে গোসল করা,যদিও আটকা স্থানে লোকদের অগোচরে হয়।
- মাহরাম পুরুষ ব্যতীত নারীর জন্য সফর করা।
- কেউ ক্রয়ের জন্য কথাবার্তা বলছে বা বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছে এখনও উত্তর মেলেনি,এরই মধ্যে অন্য কারো দর বলা বা বিবাহের প্রস্তাব দেয়া।
- শখ করে কুকুর লালন পালন করা।তবে মালামাল ও ফসল সংরক্ষনের জন্য কিংবা শিকার করার উদ্দেশ্যে কুকুর পালন করলে গোনাহ হবে না।
- অতি নগণ্য বস্তু চুরি করা।
- দাঁড়িয়ে পেশাব করা।
- গোসলখানা কিংবা পানির ঘাটে পেশাব করা।
- নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রেখে দাঁড়ানো।
- নামাযে লম্বা চাদর এমনভাবে শরীরে জরানো, যাতে হাত বের করা মুশকিল হয়।
- নামাযে অযথা শরীর নিয়ে খেলা করা অর্থাৎ, বিনা প্রয়োজনে কোন অঙ্গ নাড়াচাড়া করা বা কাপড় ওলট পালট করা।
- নামাযীর সামনে তার দিকে তাকিয়ে বসা বা দাঁড়ানো।
- নামাযে ডানে বামে বা উপরে তাকানো।
- রোজা অবস্থায় স্বামি স্ত্রী নিরাবরণ হয়ে জড়াজড়ি করা।
- রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দেয়া (যদি আরও আগে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে)।
- গলার পশ্চাদ্দিক থেকে প্রানী জবেহ করা।
- পঁচা মাছ আ মরে ভেসে উঠা মাছ খাওয়া।
- বালেগা বোধসম্পন্ন নারীর পক্ষে ওলীর এজাযত ব্যতীত বিবাহ বসা (যদি ওলী অহেতুক বিবাহে বাধা দেয়ার না হয়)।
- সন্তানদেরকে কোন মাল ইত্যাদি দেয়ার ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা না করা (জীবদ্দশায় সম্পদ দিয়ে যেতে হলে সব সন্তানকে সমান দিয়ে যাওয়া উত্তম।তবে কোন সন্তান পঙ্গু হলে বা কোন সন্তান দ্বীনের রাস্তায় থাকলে তাকে কিছুটা বেশি দেয়া যেতে পারে)।
- যার হালাল সম্পদের পরিমাণ কম,হারামের পরিমাণ বেশি, বিনা ওজরে তাহকীক ছাড়া দাওয়াত কবূল করা।
- যার হালাল সম্পদের পরিমাণ কম,হারামের পরিমাণ বেশি, বিনা ওজরে তাহকীক ছাড়া তার দেওয়া হাদিয়া গ্রহন করা।
- কোন প্রানীর নাক কান প্রভৃতি কেটে দেয়া।
- জবর দখল জমিতে প্রবেশ করা।এমনকি নামাযের জন্য হলেও।
- নামাযে পাঠ করার জন্য বিশেষ সূরা নির্বাচন করা।এমনভাবে যে,সর্বদা সেই সূরায় পাঠ করা হয়,অন্য সূরা না।
- নামাযে যে সাজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হয়,সেটাতে বিলম্বিত করা বা ছেড়ে দেয়া।
- ডানে কিংবা বামে ফটো রেখে নামায পড়া।
- ফটোর উপর সেজদা করা।
- স্বর্ণের তার দিয়ে দাঁত বাঁধাই করা।
- মৃত ব্যক্তির চেহারায় চুমু দেয়া।
- বালেগদের জন্য নিষিদ্ধ এমন পোশাক শিশুদের পরিধান করানো।যেমন প্রানীর ছবিযুক্ত পোশাক, রেশমি পোশাক, হারাম উপায়ে অর্জিত পোশাক ইত্যাদি।
- স্ত্রীর সাথে এমন কারো সামনে সঙ্গম করা যে বোঝে এবং হুঁশ রাখে।যদিও সে ঘুমিয়ে থাকে (খুব ছোট শিশুর বেলায় ভিন্ন কথা)।
- রাস্তায় এমন স্থানে দাঁড়ানো বা বসা,যাতে অন্যদের চলতে অসুবিধা হয়।
- পুরুষদের জন্য আযান শোনার পর ওজর বা জরুরী কাজ ব্যতীত ঘরে বসে বসে ইকামতের অপেক্ষা করা।
- পেট ভরার পরও অতিরিক্ত খাওয়া। রোযা কিংবা মেহমানের কারণে কিছু বেশি খাওয়া হলে তা ব্যতিক্রম।
- ক্ষুধা লাগা ছাড়াও খাওয়া। রোগ হলে ব্যতিক্রম।
- মানুষের চলার পথে নাপাকি ফেলা।
- মসজিদের ছাদে নাপাকি ফেলা।
- নিজের সাত বছরের চেয়ে অধিক বয়স্ক ছেলের সাথে এক বিছানায় শয়ন করা।
- কারো প্রশংসায় অতিরঞ্জন করা অর্থাৎ বাড়িয়ে প্রশংসা করা।
- কথা বলতে গিয়ে ছন্দ মিলানোর কসরত করা।
- হাসি ফুর্তিতে সীমালঙ্ঘন করা।
- কারো গুপ্ত কথা ফাসঁ করা।
- ক্ষমতা থাকার সত্ত্বেও আপনজন ও বন্ধুবান্ধবকে জুলুম থেকে বিরত না রাখা।
- বিনা ওজরে হজ্জ বা যাকাত আদায়ে বিলম্ব করা।কেউ কেউ এটাকে কবিরা গুনাহে সামিল করেছেন।(সগীরা গুনাহ কি কি)
এগুলো মধ্যে বেশীর ➗ ঐ করেছি। হে মহান রাব্বুল আলামীন আপনি আমাকে এবং সবাই কে মাফ করে দিন । যেন এগুলো আর না করা লাগে
উত্তরমুছুন