পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গীবত কি,গীবতের প্রকারভেদ,গীবত সম্পর্কে কুরআনের আয়াত,গীবত সম্পর্কে হাদিস,গীবত কোন ক্ষেত্রে করা জায়েজ

ছবি
গীবত    গীবত কি ? গীবত আরবি শব্দ।অন্যের দোষ চর্চা বা অনুসন্ধান করাই হল গীবত।এটি কবীরা গুনাহ এবং হারাম কাজের মধ্যে অন্যতম। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় গীবতের অর্থ হল মুখে,কলমে,অন্য যে কোন উপায়ে কারো অনুপস্থিতিতে সে ব্যক্তির এমন কোন দোষ এর কথা আলোচনা করা যা শুনলে সে ব্যক্তি মনে প্রানে দুঃখ পাবে।যা শুনলে সে ব্যক্তি রাগান্বিত হবে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, তোমরা একে অন্যের গীবত চর্চা করবে না।তোমাদের কেউ কি চায় সে তার মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাবে।বস্তুত তোমরা কখনো তেমন করবে না অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর।নিশ্চয় তিনি তওবা গ্রহনকারী ও অত্যন্ত দয়ালু।সূরা হুযুরাত :১২  সচরাচর কাউকে যখন অন্যের গীবত করা থেকে নিষেধ করা হয় তখন সে বলে আমি হুবহু এ কথা তার সামনেও বলতে পারব।একথা বলতে যেয়ে আমি তাকে এতটুকু ও ভয় পাব না।তবে এটিও গীবত বলে গণ্য হবে। গীবত সম্পর্কে হাদিস একবার কোন প্রয়োজনে এক মহিলা সাহাবি রসুল সাঃ এর কাছে এসেছিলেন।হযরত আয়েশা রাঃ তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।প্রয়োজন শেষ এ ওই মহিলা বিদায় নিলে আয়েশা রাঃ সরলচিত্তে বলেন - ইয়া রসুলুল্লাহ! এ মহিলাটি বেঁটে আকৃতির নয় কি? হযরত আয়েশা রাঃ এ কথা বলাতে ...

সগীরা গুনাহ,সগীরা গুনাহের বিবরণ, সগীরা গুনাহের তালিকা

ছবি
  সগীরা গুনাহ সগীরা গুনাহ বলতে সাধারণত আমরা ছোট ছোট গুনাহ কে বুঝি।তবে গুনাহ বলতে কোনো গুনাহই ছোট নয়।মূলত সেটাও আল্লাহর নাফরমানী। যেমন ছোট সাপ ক্ষতিকর অর্থাৎ জীবন ধ্বংসকারী আবার বড় সাপও জীবন ধ্বংসকারী।তাই ছোট সাপও অবহেলার নয়।( সগীরা গুনাহ ) সগীরা গুনাহকে অবহেলা করায় সেগুলো কবিরা গুনাহে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই কোনো গুনাহকে আমাদের ছোট মনে করা উচিৎ নয়।( সগীরা গুনাহ কি) সগীরা গুনাহের তালিকা নিম্নে সগীরা গুনাহের তালিকা দেয়া হল।তবে কোনো আলেম এ তালিকার মধ্যে কিছু গুনাহকে কবীরা গুনাহ বলেও আখ্যায়িত করেছেন।যাইহক আমার সাধ্য অনুযায়ী আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে একটি তালিকা পেশ করা হলঃ- ( সগীরা গুনাহের তালিকা ) কোনো মানুষ বা প্রানীকে লানত বা অভিশাপ দেয়া। না জেনে কোনো পক্ষে ঝগড়া করা বা অন্যায় পক্ষে ঝগড়া করা। ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাযে হাসা বা কোনো বিপদের কারনে নামাযে ক্রন্দন করা। ফাসেক লোকদের সাথে উঠাবসা করা। মাকরূহ ওয়াক্তে নামায পড়া। পেশাব পায়খানার সময় কেবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে বসা। উলঙ্গ হয়ে গোসল করা,যদিও আটকা স্থানে লোকদের অগোচরে হয়। মাহরাম পুরুষ ব্যতীত নারীর জন্য সফর করা। কেউ ক্রয়ের জন্য কথাবা...

ঈমান ও আকিদা শব্দের ব্যাখ্যা। ঈমানের গুরুত্ব। ঈমানের ফজিলত। যেসব বিষয়ে ঈমান রাখতে হবে

ছবি
ঈমান ও আকিদা শব্দের ব্যাখ্যা " ঈমান " শব্দের  অর্থ বিশ্বাস করা ও স্বীকার করা।কুরআন-হাদিসে যে বিষয়টি বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে সে গুলোকে অন্তরে বিশ্বাস করা  এবং মুখে তা স্বীকার করাই হল ঈমান। এককথায় ইসলামের ধর্মীয় বিশ্বাসকে বলা হয় ঈমান। আকিদা শব্দের অর্থ কোন বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা।( ঈমান কি ) ঈমানের গুরুত্ব ঈমান হচ্ছে সমস্ত আমলের বুনিয়াদ।যার ঈমান নেই তার কোনো আমল সহিহ হয় না,কবুল হয় না। কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে " যারা কাফের তাদের আমলসমূহ মরূভূমির মরীচিকার ন্যায় " যার ঈমান নেই সে পরকালে কোনো আমলের সাওয়াব পাবে না। ঈমানের ফযিলত আল্লাহু রব্বুল আলামিন সূরা বাকারাহ শুরুতে পারহেযগার মানুষ এর পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন " যারা ঈমান ও আমলের উপর থাকে তারাই হেদায়েত প্রাপ্ত তারাই কামিয়াব বা সফলকাম "। হযরত আবূ যর রাযি. থেকে বর্ণিত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন " যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে এবং এর উপর মৃত্যু হবে সে জান্নাতে যাবে " যেসব বিষয় এর উপর ঈমান রাখতে হয় মৌলিক ভাবে ৬ টি বিষয় এর উপর ঈমান রাখতে হয় ১.আল্লাহর প্রতি ঈমান ২ক্সক্স,এক্স.ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান ৩.নবী-রসূ...